নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১১ মার্চ ২০২৪ ১৩ : ৪০

ফের কাঠগড়ায় রূপঙ্কর বাগচী। এবার তিনি একা নন, তাঁর স্ত্রী চৈতালি বাগচীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ। তাঁরা শনিবার নির্দিষ্ট ডাকঘর অফিসে গিয়ে উদ্ধত আচরণ করেছেন। নিজেদের প্রতিপত্তি দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এখানেই শেষ নয়। অফিসে বাগবিতণ্ডা চলাকালীন গায়ক নাকি অনৈতিক শব্দও (F**k) উচ্চারণ করেছেন। সেই মুহূর্ত জনৈক ডাকঘর কর্মী মোবাইলে বন্দি করে সোমবার ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক পাতায়। গায়ক এবং গায়কপত্নীর উদ্ধত আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি লম্বা পোস্টও করেছেন তিনি। সবিস্তার জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল রুপঙ্করের সঙ্গে। গায়কের কথায়, ‘‘যা বলেছি আমার স্ত্রী চৈতালিকে বলেছি। ওঁদের কোনও অসাংবিধানিক কথা বলিইনি।’’

কী থেকে বিতর্কের সূত্রপাত? দেবারতী দেবী নামক জনৈক ডাকঘরকর্মীর বিবরণ অনুযায়ী, ‘পেশায় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী মহাশয় আজ সস্ত্রীক আমাদের পোস্ট অফিসে আসেন আধারের কাজ করাতে। প্রথমে সাড়ে বারোটা নাগাদ জনৈক চৈতালি লাহিড়ী (পরে বোঝা গেল উনি রূপঙ্করবাবুর স্ত্রী) এসে আধার নথিভুক্তিকরণের জন্য থাকা কর্মীকে বলেন উনি রাজ্য সরকারের মহিলা সুরক্ষা দপ্তর থেকে আসছেন, ওনাকে "তক্ষুনি" করে দিতে হবে। প্রত্যুত্তরে আধারকর্মী বলেন, তিনি করে দেবেন। কিন্তু আগে যারা সেই সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন তাদের করে তারপর..’। এই নিয়েই কথা কাটাকাটি শুরু। তখনই নাকি চৈতালি নিজের পদমর্যাদা নিয়ে আস্ফালন দেখাতে থাকেন। তিনি রুপঙ্কর বাগচীর স্ত্রী— এই কথাও জানান। এবং তাঁর দাবি, "মুড়ি মুড়কি এক করলে চলবে না, বুঝতে হবে কাকে আগে করতে হবে"।



রূপঙ্কর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘চৈতালির আধার কার্ডের ঠিকানা ভুল। সেটি ঠিক করাতেই আমরা ডাকঘরে গিয়েছিলাম। শুনেছি, এই সংশোধন করতে নাকি বেশি সময় লাগে না। কিন্তু ৪৫ মিনিট পরেও চৈতালি বেরিয়ে না আসায় আমি ভিতরে ঢুকি। দেখি, ওঁকে ঘিরে ডাকঘরকর্মীরা। অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তাঁরা চৈতালির সঙ্গে কথা বলছেন। সেই দলে একাধিক পুরুষকর্মীও ছিলেন। তাঁদর আচরণও যথেষ্ট অশালীন ছিল।’’ তখনই বিরক্ত গায়ক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলে ফেলেন, ‘‘কী হচ্ছে! হোয়াট দ্য F**k? মুখ ফস্কে বেরিয়ে এসেছে কথাটি।’’ তখনই নাকি কর্মীরা আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা প্রমাণ করতে মরিয়া, গায়ক অসাংবিধানিক শব্দ তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেছেন। সেটি তাঁরা ভিডিও-ও করেন। গায়কের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমি তখন ওঁদের বলি, কথাটা আপনাদের বলিনি। আমার স্ত্রীকে বলেছি। সেটাই ওঁরা ভিডিও করে সামাজির মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন।’’ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চৈতালি গায়ককে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’